এস.ই.ও.
বা Search Engine
এস.ই.ও. বা Search Engine Optimization হলো একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজকে
সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের সার্চ বা অনুসন্ধান কী-ওয়ার্ড এর উপর ভিত্তি করে
ফলাফলের তালিকায় প্রথম দিকে দেখানোর চেষ্টা করা হয়। এসইও কোনো একক কাজ নয়, এটি বহুক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের
কাজের সাথে সম্পৃক্ত একটি পদ্ধতি অর্থাৎ এটি একটি সমন্বিত পদ্ধতি।
সাধারণত একটি সার্চ ইঞ্জিনের ওয়েব ক্রাউলার বা সার্চ রবোট বিভিন্ন
সময় কিংবা কোনো নির্দিষ্ট সময় ওয়েবে থাকা বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘুরে
বেড়ায়। তখন রবোটটি কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য
খুঁজে বেড়ায়। ওয়েব সাইটের সেই সকল বৈশিষ্ট্য নিশ্চিত করে ওয়েব সাইটকে সার্চ
রবোটের কাছে তথ্যসমৃদ্ধ করার কাজটিই মূলত প্রকৃত চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকে এসইও’র। সাধারণত রোবট টি একটি ওয়েবসাইট ক্রাউল করার বা
ঘুরে বেড়ানোর সময় যে বিষয়গুলোতে দৃষ্টিপাত করে থাকে, সেই বিষয় গুলু নিচে দেওয়া হল
:-
১. ওয়েব সাইটের টাইটেল অথবা নাম,
২. ওয়েব সাইটের ডেসক্রিপশন অথবা বিবরণ,
৩. ওয়েব সাইটের মেটা ট্যাগ,
৪. ওয়েব সাইটের সাইট ম্যাপ,
৫. ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলোর টাইটেল অথবা নাম,
৬. ওয়েব সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলোর অল্ট
বিবরণ,
৭. ওয়েব সাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলোর ক্যাপশন
ইত্যাদি।
এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করে ওয়েব সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে দৃষ্টিগোচর করার কাজটিই এসইও’র
মূল কাজ বিবেচিত হয়।
কি কারণে এই সার্চ ইন্জিন
অপটিমাইজেশন SEO করা :
আপনাদর অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কেন আমরা এই SEO করবো।এর জন্য সবচেয়ে ভাল উত্তর হল ওয়েব সাইটের
ভিজিটর বা ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য আমরা এই SEO করবো।
কেননা ভিজিটর ছাড়া একটি ওয়েব সাইটের কোন মূল্য নেই।আর ভিজিটর বাড়ানোর মূল্য রয়েছে সার্চ ইন্জিন
অপটিমাইজেশনের গুরুত্ব।এস.ই.ও. বা সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশনের প্রধান
প্রধান উদ্দেশ্য গুলোর মধ্যে অন্যতম বিষয় গুলো নিচে দেওয়া হল :-
১. এস.ই.ও. এর মাধ্যমে আপনার সাইটকে সকলের কাছে খুব সহজেই পৌছে দেওয়া।
২. আপনার ওয়েব সাইটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি
করা।
৩. আপনার সাইটের ভিজিটর বৃদ্ধি করা।
৪. বিভিন্ন ধরনের অনলাইন আয় করার
প্লাটফর্ম হিসাবে কাজ করে।
৫. তথ্য বিনিময় ও প্রতিযোগিতায় টিকে
থাকার শক্ত ভিত হিসাবে কাজ করে।
অন-পেজ অপটিমাইজেশন কি ?
প্রথমেই বলে রাখি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হল দুই প্রকার।
১. অন পেজ অপটিমাইজেশন ও
২. অফ পেজ অপটিমাইজেশন।
অনপেজ অপটিমাইজেশন হল একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে যে এসইও করা হয়
সেটা। অর্থাৎ একটি ওয়েব সাইটকে যে কোন সার্চ
ইঞ্জিনের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য যে অপটিমাইজেশন করা হয় সেটাই অনপেজ
অপটিমাইজেশন বা অন-পেজ এসইও।
অন-পেজ অপটিমাইজেশন কথাটি দেখলেই বোঝা যায় যে, ওয়েব পেজের মধ্যে যে
সকল অপটিমাইজেশন করা হয় তাকেই অন-পেজ অপটিমাইজেশন বলা হয়।
আমরা একটু গভীর ভাবে বিষয়টিকে চিন্তা করার চেষ্টা করি।
প্রথমেই আমাদের ভাবতে হবে আমরা ওয়েব পেজে কি কি কাজ করে
থাকি। সাধারন ভাবে আপনার উত্তর হতে পারে লেখা
লেখি করি, ছবি বসাই, গান আপলোড করি ফ্লাশ মিডিয়া বসাই ইত্যাদি। প্রায় ৭০% নতুন ওয়েব ডিজাইনাররা এসব নিয়েই ব্যস্ত
থাকেন।কিন্তু সার্চ ইঞ্জিন
অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে এসব বিষয় গুলো প্রধানত প্রধান্য পায় না।এসকল বিষয়কে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য উপযোগী করাই
হল
অন-পেজ
অপটিমাইজেশন।
ওয়েব পেজে বিভিন্ন ধরনের ট্যাগ ব্যবহার করা, সুন্দর করে কনটেন্ট
লেখার কলাকৌশল, লিংকের ব্যবহার ,ইত্যাদি করে অনপেজ অপটিমাইজেশন করা হয়।
কী-ওয়ার্ড কি ?
সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশনে কী-ওয়ার্ড একটা
গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বিষয়।মূলত
কী-ওয়ার্ডকে দুই ভাবে বলা যেতে পারে।
প্রথমটি হচ্ছে যে সকল শব্দ সমষ্টিকে কী-ওয়ার্ড
বলে নিয়ে আপনি আপনার ওয়েব সাইটটি গঠন করেন তাকে,
আর দ্বিতীয়টি টি হচ্ছে যে সকল মূলশব্দকে আপনি SEO করার জন্য বাছাই করেছেন তাকে।
তবে আমার মত অনুযায়ী দ্বিতীয়টাই SEO এর জন্য যথার্থ।কেননা SEO এর ভাষায় কী-ওয়ার্ড হল যে শব্দকে
নিয়ে আপনি কাজ করবেন।
একটা উদাহারণ দেয়া যাক।যেমন আপনার একটা মুভি ডাউনলোডের সাইট আছে।সেক্ষেত্রে আপনার সাইটের কী-ওয়াড Download movie,Free download movie, movie watch and download এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরা যখন কোন কিছু সার্চ করার জন্য সার্চ বক্সে লিখি তখন সার্চ ইন্জিন সেই শব্দের উপর ভিত্তি করেই ফলাফল প্রকাশ করে। আর আপনার প্রদত্ত শব্দটাই হয় কী-ওয়ার্ড। যেমন আপনি “Nokia Mobile” লিখে সার্চ করলেন। এখানে “Nokia Mobile” হল আপনার সার্চ কী-ওয়ার্ড। এতে সার্চ ইন্জিন আপনাকে অনেক গুলো সাইটের ফলাফল দেখাবে। এই ফলাফল দেখানোর মানে হল সার্চ ইন্জিন আপনার প্রদত্ত সার্চ কী-ওয়ার্ডের উপর ভিত্তি করে আপনাকে ফলাফল দেখাচ্ছে। এই ফলাফলের তালিকায় যে সকল সাইটের নাম আছে তারা সবাই Nokia Mobile কী-ওয়ার্ড নিয়ে সাইটটি বানিয়েছে। সুতরাং বুঝাই যায় যে, কী-ওয়ার্ড সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ।
কিভাবে ব্যবহার করবেন কী-ওয়ার্ড ?
কী-ওয়ার্ড সম্পর্কে আমরা মোটামুটি একটা ধারণা
পেয়েছি।এখন দেখা যাক কিভাবে এই
কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করবেন।কী-ওয়ার্ড
আপনি দুই ভাবে ব্যবহার করতে পারেন। যেমন:-
১. মেটা ট্যাগের মাধ্যমে।
২. সাইটের কনটেন্ট বা আর্টিকেল এর মাধ্যমে।
মেটা ট্যাগ :
ওয়েব সাইট ডিজাইনের সময় আমরা অনেক ধরনের মেটা ট্যাগ নিয়ে কাজ করি। এর মধ্যে
< meta name=”keywords” content=”some keyword,another keyword” />
এই ট্যাগটি “মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগ” নামে পরিচিত।এই মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগ দ্বারা আপনি আপনার সাইটের কী-ওয়ার্ড ব্যবহারের কাজ করতে পারবেন। এর জন্য আপনি আপনার সাইটের HTML এডিটর পেজে গিয়ে ট্যাগ এর মধ্যে আপনার বাছাই করা কী-ওয়ার্ডটি বসিয়ে দিন। আরো অনেক মেটা ট্যাগ আমরা সাইটে ব্যবহার করে থাকি। তবে মেটা ট্যাগ ও কী-ওয়ার্ড এর ব্যবহারের বেশ কিছু নিয়ম বা টিপস মেনে চলা উচিত। যাতে করে আপনি আরো ভালো ফলাফল পেতে পারেন। যেমন:-
আপনার সাইটের যে কী-ওয়ার্ডটির উপর ভিত্তি করে
বানাবেন সেই কী-ওয়ার্ডটি যেন আপনার মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগে ৩ বারের বেশি না
থাকে।
আপনার সাইটে মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগ ব্যবহার
করুন সর্বোচ্চ ১ বার।
-মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগে একটি কী-ওয়ার্ড
বার বার না লিখে অন্য ভাবে তা লেখার চেষ্টা করুন, যেমন প্রথমে যদি লেখেন
Download
hindi movie, hindi movie তা হলে সেটাকে একটু ঘুরিয়ে নিয়ে download hindi movie বা আর একটু পরিবর্তন করে download
hindi movie online, hindi movie download করে নিতে পারেন।
- কী-ওয়ার্ড এর বানান যেন কোন মতেই ভুল
না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে।
-প্রতিটি কী-ওয়ার্ডের পর একটি করে কমা(,) ব্যবহার করুন এবং এর পর একটা স্পেস
দিয়ে পরবর্তী কী-ওয়ার্ড দিবেন।
তারপর আপনি আপনার বাছাই করা কী-ওয়ার্ড গুলো
অন্যান্য ট্যাগে ব্যবহার করুন। যে সকল ট্যাগে আপনি আপনার কী-ওয়ার্ড ব্যবহার
করতে পারেন সেগুলো হলো :
1. Description- Meta Tag.
2. Title – Meta Tag.
3. ALT- Meta Tag.
২.সাইটের কনটেন্ট বা আর্টিকেলের মাধ্যমে
আমরা অনেক মনে করি যে সার্চ ইন্জিন গুলো কেবল মেটা
ট্যাগ নিয়ে সাইট ইনডেক্স করে। অনেকে আবার মনে করেন যে, মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগ
ব্যবহার না করলে হয়তো সাইট ইনডেক্স হবে না, ভালো ফল পাবে না আরও অনেক কিছু। তাই তাদের জন্য বলছি মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগটি সার্চ ইন্জিনের জন্য অবশ্যই
গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সাইট ইনডেক্স হবে না, কিংবা সাইট ইনডেক্স
হলেও ভালো ফল পাওয়া যাবে না। মেটা কী-ওয়ার্ড
ট্যাগটি সার্চ ইন্জিনের ক্রাউলিং করার কাজকে অনেক সহজ করে দেয়। যেমন আপনি যদি একটি বই পড়ার সময় বইয়ের সূচিপত্র দেখে কোন তথ্য
খোজ করেন তা খুব সহজেই আপনি খুজে পাবেন। আর মেটা কী-ওয়ার্ডটি
আপনার সাইটের সূচিপত্রের মতো কাজ করে। যেটা থাকলে সার্চ ইন্জিন গুলোর কাজ করতে সুবিধা
হয়। তো আসল কথায় আসি,
আপনি যখন আপনার সাইটের কোন কনটেন্ট বা আর্টিকেল
লিখবেন তখন আপনি যে সকল শব্দ ব্যবহার করবেন তাই হল কী-ওয়ার্ড। তাই আপনার বাছাই করা কী-ওয়ার্ড এর উপর ভিত্তি করে আপনার কনটেন্ট বা
আর্টিকেল লিখুন। এটাই আপনার প্রথম কাজ।তাছাড়া অন্যান্য টিপস গুলো হলো….
প্রথমে আপনি আপানার বাছাই করা কী-ওয়ার্ড গুলোর
একটা খসড়া তালিকা তৈরী করুন।এই
খসড়া তালিকায় কী-ওয়ার্ড গুলো আপনার পছন্দ আনুসারে সাজান।
আপনার বিষয় বস্তুর সাথে কোন কী-ওয়ার্ডটি
বেশি মানায় সেটা নির্বাচন করুন।
আপনি আপনার কনটেন্ট বা আর্টিকেল লেখার সময়
কী-ওয়ার্ড ব্যবহারের উপর জোর দিন।
আপনি আপনার বাছাই করা কী-ওয়ার্ডটি আপনার লেখা
কনটেন্ট বা আর্টিকেলের প্রথম ২০০টি শব্দের মধ্যে রাখুন। এটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশনে অনেক ভালো ফল পাওয়া সম্ভব।
শুধু মাত্র ১ টি কী-ওয়ার্ড নিয়ে পড়ে থাকবেন না। একই ধরণের কী-ওয়ার্ড গুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করার চেষ্টা
করুন।
গুগল সহ অন্যান্য সার্চ ইন্জিন কিন্তু
কনটেন্ট বা আর্টিকেলে দেয়া কী-ওয়ার্ড গুলোর দিকে বেশি নজর দেয়,যা মেটা ট্যাগের চেয়ে
অনেক গুন বেশি। আসুন দেখে নিই কিভাবে ?
মনে করুন আপনি গুগল সার্চ ইন্জিনে গিয়ে সার্চ
করলেন “download indian movie” লিখে। এর পর যে সাইট গুলো আসবে তার পাশে লেখা “Cached” এ ক্লিক করুন। নিচের লিঙ্কে গিয়ে ছবিটি দেখুন -
তারপর গুগলের Cached করা সাইটের পাতাটি
আপনার সামনে হাজির হবে। নিচের লিঙ্কে গিয়ে ছবিটি দেখুন -
সেখানে তারা মার্কিং করে দেখাবে যে সাইটে আপনার
দেয়া কী-ওয়ার্ড গুলো কেমন ভাবে তারা ব্যবহার করেছে।
তো বুঝলেন সাইটের কনটেন্ট বা আর্টিকেলে আপনি যদি
আপনার সার্চ কী-ওয়ার্ড ব্যবহার না করেন তাহলে কেমন ফল আপনি পেতে পারেন।
কেন এই কী-ওয়ার্ড বাছাইকরণ ?
আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কী-ওয়ার্ড তো হল কিন্তু এ আবার বাছাই করবো
কেন। আমরা কোন ভালো জিনিস পেতে যেমন বাছাই করি তেমনি
সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশনে ভালো ফল পেতে সঠিক কী-ওয়ার্ড বাছাইয়ের তুলনা হয় না।
আমরা অনেক সময় ভলো ফল পাওয়ার জন্য বিভিন্ন হাই-কম্পিটেশন কী-ওয়ার্ড নিয়ে সাইট তৈরী করে থাকি। যেমন Download Software,Download Movie,Song,Music,Tips ইত্যাদি। এসব কী-ওয়ার্ড গুলো হাই ট্রাফিক সম্পূর্ণ। এক বার যদি এসব কী-ওয়ার্ডের ১ম পেজে থাকতে পারেন তাহলে তো কথাই নেই। ভিজিটর নিয়ে কোন চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এমন সব হাই-কম্পিটেশন
কী-ওয়ার্ডে আছে প্রচুর প্রতিযোগীতা। ভালো ভালো ওয়েবমাষ্টাররা ও
মাথার ঘাম পায়ে ফেলেন এসকল কী-ওয়ার্ড নিয়ে। তবে আমরা যেহেতু প্রথম থেকে শুরু করছি
তাই এত বড় বড় কী-ওয়ার্ড নিয়ে মাথা ঘামাবো না। তাই আমাদের বের করতে হবে কিভাবে অন্যান্য কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করে ভালো ফল
পাওয়া যায়। আর এই ভালো ভালো
কী-ওয়ার্ড পাওয়ার জন্যই আপনার এই কী-ওয়ার্ড বাছাইকরণ।
চমৎকার সব কী-ওয়ার্ড বাছাইয়ের মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন অনেক ভালো ট্রাফিক। আসুন দেখা যাক কিভাবে আমরা
কী-ওয়ার্ড বাছাই করবো।
কী-ওয়ার্ড বাছাই এর সময় আমাদের কিছু বিষয় নিয়ে গবেষনা করতে হবে। এই ট্রামগুলা বিবেচনা করে আপনাকে
আপনার সাইট এর জন্য সঠিক কী-ওয়ার্ড বাছাই করতে হবে। নিচে তা সংক্ষেপে আলোচনা করা
হল :-
কী-ওয়ার্ড রিলিভেন্স (Keyword
relevance)
প্রথমে আপনার বিজনেস/সাইটটি কোন বিষয়বস্তুর উপর তা নির্ধারণ করুন। তারপর ওই বিষয়বস্তুটির Keyword কি সেটা নির্ধারণ করুন। ধরুন আপনার গাড়ীর পার্টস সেলিং (Car parts
selling) রিলেটেড। লক্ষ্য করে দেখুন কার (CAR) কিওয়ার্ডটি highest
volume keyword । এখন আপনাকে দেখতে হবে
কতো জন লোক গাড়ীর পার্টস (buy car parts) কিনতে CAR শব্দটি ব্যবহার করছে। এক্ষেত্রে আপনার কি-ওয়ার্ড কার (Car) হবে না। আপনার কিওয়ার্ড হবে আপনার সাইটের সাথে আরও Specific সম্পর্কযুক্ত। যেমন: BUY CAR PARTS, GETTING YOUR CAR
PARTS। আপনার বিজনেস যদি
গাড়ীর জানালা (CAR WINDOWS ) রিলেটেড হয় তাহলে আপনি আরও Specific কিওয়ার্ড ব্যবহার
করবেন। যেমন: buy car
window। তখন আপনি সহজেই আপনার
গ্রাহকের নিকট পৌছাতে পারবেন এবং গ্রাহকও আপনাকে সহজে খুঁজে বের করতে পারবে। আপনি হয়তো ভাবছেন এই কি-ওয়ার্ডটির Search
Volume কম। তাই না? Search volume কম হলেও Keyword
Relevancy এর
কারণে আপনার traffic ratio বাড়বে। তাই
মূলকথা হলো যতটুকু সম্ভব আপনি আপনার সাইট/বিজনেস এর সাথে Specific সম্পর্কযুক্ত Keyword নির্বাচন করুন।
অর্থাৎ, আপনি আপনার ভিজিটরকে ঠিক কোন বিষয়টির দিকে (অর্থাৎ Keyword) আকৃষ্ট করতে চান কিংবা কোন ভিজিটরদের
নিকট আপনি পৌছতে চান যা আপনার ব্যবসা/সাইটের সাথে সম্পর্কিত সেটাই কি-ওয়ার্ড
রিলিভেন্সী।
কী ওয়ার্ড রিসার্চ টুলস :
আপনার সাইট কে ভালভাবে অপটিমাইজ করার জন্য কীওয়ার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে। যদি আপনার প্রত্যেকটি
পেজ ভাল ভাল কী-ওয়ার্ড দ্বারা ভালভাবে অপটিমাইজ করা থাকে, তাহলে তারা সার্চ
ইঞ্জিন থেকে ভাল এবং টার্গেটেড ভিজিটর আনতে পারে খুব সহজেই।
এখানে অনেক নিয়ম আছে আপনার পেজ এর জন্য ভাল কী-ওয়ার্ড খুঁজে বের করার। তাদের মধ্যে খুব ভাল এবং জনপ্রিয়
হচ্ছে ফ্রী কী-ওয়ার্ড রিসার্চ টুলস গুলোকে কাজে লাগানো। তাই কিছু ভাল অনলাইন টুলস ( ফ্রি টুলস, ব্রাউজার এক্সটেনশান
এবং কিছু পেইড সার্ভিস এর ফ্রি ভার্সান) নিয়ে আলোচনা করব। কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলস গুলো রিয়েল টাইম কোন ডাটা দিতে পারেনা
কীওয়ার্ড সম্পর্কে প্রতি সার্চ এ। তারা
তাদের ক্যাশ থেকে তথ্য গুলা দিয়ে থাকে।
নিচে কিছু কী ওয়ার্ড রিসার্চ টুলস নিয়ে আলোচনা করছিঃ
১. গুগল অ্যাডওয়ার্ডস টুলস
(https://adwords.google.com/select/KeywordToolExternal):
নিচের লিঙ্কে গিয়ে ছবিটি দেখুন -
সম্ভবত এটা হচ্ছে সব ফ্রি রিসার্চ টুলস গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় টুল
এসইও এর জন্য এবং এটা গুগল এর নিজস্ব কীওয়ার্ড টুল। শুধুমাত্র একটা কী-ওয়ার্ড অথবা প্রতি লাইনে একটি একটি বাক্য
বসিয়ে রিলেটেড কীওয়ার্ড গুলো খুব সহজেই খুজে পাওয়া যায়। এখানে আপনি কী-ওয়ার্ড
রিসার্চ করার সময়
ফিল্টার করতে পারবেন প্রয়োজন ভেদে যেমন এক্সেট অথবা ফ্রেজ ম্যাচ টাইপ যা
এসইও এর জন্য দরকার হয়। এরপর
ও আপনি বিভিন্ন ভাষায় এবং দেশ ভেদে কীওয়ার্ড সার্চ করতে পারবেন।
কী-ওয়ার্ড আইডিয়া ট্যাব এ আপনি একটা কলাম দেখবেন যেখানে থাকবে Competition,
Global Monthly Searches, Global Local Searches, Ad Share, Google Search
Network, Search Share, Approximate CPC (cost-per-click bid), Local Search
Trends graph and Extracted From Webpage, আমি আপনাকে সাজেস্ট করব All Columns
বাটন এ
ক্লিক দিয়ে সবগুলো এনাবল করে দেয়ার জন্য ভাল সার্চ কীওয়ার্ড খুজে পেতে যা সাহাজ্য
করবে।
রিসার্চ শেষ করার পর আপনি আপনার রিসার্চ করা কীওয়ার্ড রেজাল্ট গুলো CSV format এ ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। সবার মতো আমিও বলবো যে এটা খুবই
ইফেক্টিভ রিসার্চ টুল, যার কাছে সব ধরনের ফিচার গুলো পাওয়া যায় এবং তা অবশ্যই
ফ্রীতে।
No comments:
Post a Comment